শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২০শে নভেম্বর সকালে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মাহাবুর রহমান শেখের সঞ্চালনায় সভায় জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ.কে.এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম টিটন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ ও অভিযান) মোঃ রেজাউল করিম, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ মোস্তফা মুন্সী, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদা ফেরদৌসী, ওজোপাডিকোর নির্বাহী পকৌশলী মোঃ মামুন অর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস.এম সহীদ নূর আকবর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজমীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, করোনা মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। যার ফলে আগামী বছর সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞগণ সতর্ক করেছে। বাংলাদেশও যার থেকে মুক্ত নয়। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ যাতে এই খাদ্য সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারাসহ দেশে যেন কোনো প্রকার খাদ্য সংকট না হয় এবং আমরা যাতে আমাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত খাদ্য বিশ্বের খাদ্য সংকটে থাকা দেশগুলোর জনসাধারণকে দিতে পারি সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের সব জায়গায় এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রেখে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা কৃষি বিভাগকে পরিকল্পনা মাফিক জেলার কৃষকদের সাথে মতমবিনিময় করে কী কী ফসল বিভাবে চাষ করলে কৃষক অধিক ফসল উৎপন্ন করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জেলায় অনেক ফেলে রাখা জমি আছে যেগুলোতে ফসল বা সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে অনেক শস্য উৎপাদন করা যায়। অনেক সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আছে যাদের অফিসের সামনে অনেক জায়গা পড়ে আছে যেখানে সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য ফলানো সম্ভব। আমি আশা করি ‘এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা থাকবে না’-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী রাজবাড়ী জেলাবাসী তাদের চাষাবাদের জমিসহ সকল ফেলে রাখা জমিতে ফসলসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকাকে সহযোগিতা করবে। সেই জন্য কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে জেলার কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া জেলার সকল সরকারী বিভাগসহ সকলে যার যার অবস্থান থেকে উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাবেন।
এছাড়াও সভায় জেলা পুলিশের আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ, স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক করোনা টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জেলা পরিষদ ও পৌরসভারগুলোর মশা নিধনে ব্যবস্থা গ্রহণসহ জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক বিষয়, গণপূর্ত বিভাগ, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক জেলার কৃষি খাতের বর্তমান অবস্থাসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি, দাপ্তরিক বিভিন্ন কর্মকান্ড ও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই জেলার জনসাধারণের কাছে যাতে সরকারী সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
Leave a Reply